জন্মাষ্টমী বা শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী (Janmastami)


জন্মাষ্টমী বা শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী একটি হিন্দু উৎসব। এই শুভ দিনেই বাল গোপাল শ্রী কৃষ্ণ জন্ম হয়, কৃষ্ণ দেবকী এবং বাসুদেবের অষ্টম  সন্তান ছিলেন, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রোহিণী নক্ষত্রের
দিনেই বিষ্ণুর  অবতার কৃষ্ণ জন্ম গ্রহণ করেন, এই উৎসব টি বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী ইত্যাদি। ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার হল শ্রীকৃষ্ণ।
 ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বাল্য বেলা অনেক সঙ্কট আর তার লীলা মধ্যে দিয়ে গেছে, এই সমস্ত সঙ্কট কে কৃষ্ণ কখনও ভয় পাইনি বরণ নিজের ওপর আসা বিপদ কে কিভাবে নিবারণ করেছেন সেই গল্প গুলোর মধ্যে থেকে আমরা কিছু গল্প আমরা জানবো.








3. মাখন চুরি : 
     ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বাল্য বেলায় মাখন খেতে খুব ভালো বাসতেন। শ্রীকৃষ্ণর
 মাখন এর প্রতি প্রেম আর মাখন চুরি এর কথা আমরা সবাই জানি।   যশোোধা সহ সামগ্র বৃনদাবন ছোট্ট গোপাল এর দুষ্টুমি জেরে মাখন মাটির হাঁড়ি তে ভোরে উঁচুতে বেঁধে রাখত। দুষ্ট গোপাল বলরাম আর বন্ধুরা মিলে যখন ই সুযোগে পেতো মাখন চুরি করে নিজে খেটে আর বন্ধুদের ও খাওয়া তো, যখন বৃনদাবন এর গৃহীনি আর মেয়েরা যমুনা নদীতে জল আনতে যেতো তখন তাদের ঘর থেকে মাখন ও চুরি করত গোপাল পল্টন। প্রতিদিনের মতো একদিন যশোধা নদীতে যান সেই সময়ে গোপাল সহ পুরো পল্টন মাখন চুরি করছিলো তখনই যশোধা ঘরে ফেরে, গোপাল কে একা ফেলে সমগ্র পল্টন পালিয়ে যায়। করে 

















1. ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং অরিষ্ঠাসুর :

               এই গল্পটি থেকে আমরা ভববান শ্রীকৃষ্ণর বাল্য লীলার একটি সুন্দর আর ছোটদের জন্য একটি শিক্ষণীয় গল্প জানবো, শ্রীকৃষ্ণের এই গল্পটি থেকে ছোটরা জানবে শিক্ষক, গুরুজন আর বড়ো দেড় শ্রদ্ধা করা উচিত কেন?
       একদা বৃন্দাবনের সুন্দর শান্ত পরিবেশে একটি বৃহদাকার ষাঁড় ঢুকে পরে এবং গ্রামে সব কিছু ভাঙচুর আরম্ভ করে দেয় এবং গ্রামবাসীদের আহত করতে শুরু করে দেয়, গ্রামবাসীরা কেউ বুঝতে পারেনা যে এই বৃহদাকার কদাকার ষাঁড়টি কোথা থেকে এলো, তখন গ্রামের অন্য প্রান্তে ক্রীড়ারত বাল্য শ্রীকৃষ্ণর কাছে গ্রামবাসীরা এই গোমনাতী বৃত্তান্ত জানায় আর সাহায্য প্রাথর্না করে, গ্রামবাসীদের এই বিপদ শুনেই ছোট্ট কৃষ্ণর সেখানে গিয়ে বৃহদাকার ষাঁড় টি দেখা মাত্রই উপলব্ধি করে যে এটি কোনো সাধারণ ষাঁড় নয় এটি একটি দৈত্য।তার পর ই শুরু হয় কৃষ্ণ আর দানব রুপি ষাঁড়ের মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধ দানব আর প্রভুর লীলা শেষে প্রভু দানব এর  সিং ধরে মাটিতে আছাড় মারেন, প্রচণ্ড যুদ্ধ এর শেষে দানব নিজের অসুর রূপ ট্যাগ করে নিজের মনুষ্য রূপ দানং করে আর প্রভুর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তিনি এটাও প্রভু কে জানান যে তিনি দেব গুরু বৃহস্পতির শিষ্য ছিলেন এবং গুরু কে অসম্মান করার জন্য তিনি গুরুর অভিশাপে এই দানব রূপ পেয়েছিলেন, এবং প্রভুর স্পর্শে এই অভিশাপের হাত থেকে সে মুক্তি পেলো আর নিজের পূর্বের রূপ ফিরে পেলো, প্রভুর কাছে অনুমতি নিয়ে সে মুক্তি পেলো।


নীতি কথা : গুরুজনদের সর্বদা সন্মানকরা উচিত। 

2. ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কালিয়া দমন (সার্প) :

  একদা বহু বছর আগে বৃন্দাবনের সুন্দর মনোরম গ্রাম্য পরিবেশে সমস্ত গ্রামবাসীরা যখন নিজের কাজে ব্যাস্ত, ভোরের বেলা গ্রামের সমস্ত বাড়ির ছেলেরা পুরুষেরা নিজ নিজ কাজে প্রস্থান করে, আর বাড়ির গৃহিণীরা গৃহস্থের কাজে ব্যাস্ত, গ্রামের বালক বালিকারা রা খেলায় মত্ত, তখন ছোট কৃষ্ণ অপেক্ষায় আছে কখন গৃহিণীরা যমুনা নদীতে জল আন্তে যাবে আর তিনি মাখন চুরি করে খাবে, এমনি ভাবে দিন কাটে হটাৎ কোনো একদিন বৃহৎ এক স্যাপ কালিয়া নামক এই যমুনা নদীতে বাস করতে শুরু করে দেয়  সকলের অজান্তেই, নদীর জল আস্তে আস্তে বিষাক্ত হতে শুরু করে, গ্রামবাসীরা এই নদীর ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল, কালিয়ার প্রভাবে নদীর জল এতটাই বিষাক্ত হয়ে যায় যে এই  নদীর জল পান করে অসুস্থ হতে থাকে, গ্রামবাসীরা ছোট শ্রী কৃষ্ণের গোচরে যখন এই ঘটনা আসে তখন তিনি সাপের সাথে যুদ্ধ করেন আর  যথা রীতি সর্প পরাজিত হয় এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সর্প কে বৃন্দাবন ছেড়ে চলে যেতে বলেন  এবং কখনও ফিরে আসার জন্য সাপকে নির্দেশ দেন।




নীতি কথা : শুভ শক্তির সর্বদাই জয় হয়, আর অশুভ শক্তির পরাজয়। 












Comments

Popular posts from this blog

Raksha Bandhan